সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭ম সম্মেলনের আহ্বান-শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোল
শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, সাম্প্রদায়িকীকরণ রুখে দাঁড়াও
প্রশ্নপত্র ফাঁস, কোচিং বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, ভর্তি সংকট, দুর্নীতি ও অনিয়ম নিরসন কর
নারায়ণগঞ্জ জেলায় পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজ নির্মাণ কর
সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিপরীতে ছাত্র রাজনীতির আদর্শবাদী ও বিপ্লবী ধারাকে শক্তিশালী কর
উপরোক্ত দাবীগুলোকে সামনে রেখে আজ ২৬ জানুয়ারী’ ২০১৬ইং চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১.৩০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন সংগঠনের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন। উদ্বোধন পরবর্তীতে বিভিন্ন মনীষীদের ছবি, ফেস্টুন ও সংগঠনের পতাকাসহ এক বর্ণাঢ্য র্যালী শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারে এসে সমাপ্ত হয়।
বিকেল ৩টায় চাষাড়াস্থ কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে সম্মেলনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি সজল বাড়ৈ এর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন। আরো বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রিয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা আক্তার, সংগঠনের সরকারি তোলারাম কলেজ শাখার সভাপতি বেলাল হোসাইন।
কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও এদেশে সবার জন্য শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়ন হয়নি। ‘টাকা যার, শিক্ষা তার’ এই নীতিতে চলছে দেশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নামে বেনামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অমান্য করে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন স্বাভাবিক ঘটনা। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসের পরিবর্তে কোচিং নির্ভর করে ফেলা হয়েছে। শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকটে ভুগছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত কলেজগুলো। সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, ভর্তি বাণিজ্য চলছে কলেজগুলোতে। সকরারী উদ্দ্যোগে নতুন নতুন স্কুল কলেজ তৈরী হচ্ছে না। অন্যান্য নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল গুলোতে অতিরিক্ত ভর্তি ফি, সেশন ফি নেয়ার প্রতিবাদ জানান।
সন্ধ্যা ৬টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন গণসংগীত শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু, নাটক ও মূকাভিনয় পরিবেশন করেন ক্রান্তি খেলাঘর আসর, এই বাংলায় ও শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমী।
সম্মেলনে সুলতানা আক্তারকে সভাপতি, বেলাল হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক ও শফিকুল ইসলাম শিমুলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়।