03 Mar 2019
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ ও চুলায় সব সময় পর্যাপ্ত চাপে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে বাসদের বিক্ষোভ
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ ও
চুলায় সব সময় পর্যাপ্ত চাপে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে
বাসদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন বেশ কিছু এলাকায় দিনের বেলায় পর্যাপ্ত চাপে চুলায় গ্যাস পাওয়া যায় না। রান্না করতে যে কী কষ্ট করতে হয় তা ভুক্তভোগীরা জানেন। গ্যাসের চাপ কম থাকলেও গ্যাসের দাম কিন্তু কম নয়। এক বার্নারের ক্ষেত্রে ৮৫ ঘনমিটার এবং দুই বার্নারের ক্ষেত্রে ৯২ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহারের দাম নেয়া হয়। কিন্তু তিতাস গ্যাস কোম্পানির হিসেব অনুযায়ী ১ বার্নারে গ্যাস সরবরাহ হয় ৪৫ ঘনমিটার এবং ২ বার্নারে গ্যাস সরবরাহ হয় ৪৭ ঘনমিটার। অর্থাৎ গ্যাসের দাম নেয়া হয় দ্বিগুণেরও বেশি। সারা দেশে সব স্থানে গৃহস্থালিসহ অন্যান্য শিল্প কারখানার জন্য গ্যাস সরবরাহ নাই। তারা সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার করে। কিন্তু সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নাই। ফলে জেলায়, উপজেলায় বেশি দামে গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ১২ কেজির ১টি সিলিন্ডারে গ্যাস থাকে ১৬ ঘনমিটার। বর্তমানে সিএনজি পাম্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি হয় ৩৮ টাকায়। তাহলে ১ সিলিন্ডার গ্যাসের দাম হওয়ার কথা ৬০৮ টাকা। কিন্তু বাজারে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ১১০০/ ১২০০ টাকায়। এসব বিষয়ে সরকার ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নীরব। অথচ রেগুলেটরি কমিশন এর দায়িত্ব জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা। কিন্তু কমিশন সরকার ও কোম্পানির স্বার্থে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে তৎপর। কোন যুক্তি ছাড়াই আবারও গ্যাসের দাম দুই চুলায় ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, গণশুনানিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা না করে সরকারের দাম বাড়ানোর ইচ্ছাই কার্যকর করা হয়। ১১ মার্চ ২০১৯ গণশুনানিতে দাম বাড়ানোর এই প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।

১. গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধ কর। বাসাবাড়িতে প্রিপেইড মিটার সরবরাহ কর।
২. চুলায় নিয়মিত সর্বক্ষণ পর্যাপ্ত গ্যাস দাও। সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার চাই।
৩. গ্যাস খাতে দুর্নীতি, অপচয় বন্ধ কর। দুর্নীতির সাথে জড়িতদের শাস্তি দাও।
৪. শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে স্থলভাগে ও সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনে ব্যবস্থা নাও।
৫. বিদেশি কোম্পানিকে দেয়া গ্যাসক্ষেত্র ইজারা চুক্তি বাতিল কর। বেসরকারিভাবে এলএনজি আমদানির নামে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে ব্যবসায়ী ও কমিশন ভোগীদের পকেট ভারী করার চক্রান্ত বন্ধ কর।