জনজীবন ও শিক্ষাজীবন রক্ষার আহ্বান জানিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবসে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত
দুই জোটের ক্ষমতাকেন্দ্রিক সন্ত্রাস-হানাহানির কবল থেকে জনজীবন ও শিক্ষাজীবন রক্ষার আহ্বান জানিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবসে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আজ ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বিকাল ৪ টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামীলীগ-বিএনপি’র নেতৃত্বে দুই জোটের ক্ষমতাকেন্দ্রিক সন্ত্রাস-হানাহানি বন্ধ কর, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর, শিক্ষাজীবন রক্ষা কর- এই দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু। বক্তব্য রাখেন স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন।
ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব রুমন এর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় দপ্তর সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্স, অর্থ সম্পাদক রুখসানা আফরোজ আশা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মৈত্রী বর্মন, ইডেন কলেজ শাখার সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ প্রমুখ।
![]()
সমাবেশে রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় এবং শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে জাফর, জয়নাল, দিপালী সাহা, আইয়ুব, মোজাম্মেল হোসেন কাঞ্চন’রা জীবন দিয়েছিল। কিন্তু আজ ৩২ বছর পরেও মানুষের আজ দেশে গণতান্ত্রিক কোন পরিবেশ নাই, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নাই, শিক্ষা জীবন বিপন্ন এবং শিক্ষার অধিকার সংকুচিত। ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নেতৃত্বে হয় পেট্রল বোমায় মানুষ পুড়ছে নয়ত ক্রসফায়ারে বলি হচ্ছে। দুই জোটের হাতে গরীব মধ্যবিত্ত মানুষ জিম্মি। তিনি আজকের বিদ্যমান সংকট নিরসনে এবং গণতান্ত্রিক ও শিক্ষার অধিকার আদায়ে বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।