14 May 2019
পাটকল শ্রমিকদের ধর্মঘটের সমর্থনে বাসদের মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত
পাটকল শ্রমিকদের ধর্মঘটের সমর্থনে বাসদের মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বকেয়া বেতন পরিশোধ, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবি মেনে নিন

সমাবেশে বক্তবাগণ বলেন, ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জে বাওয়ানী জুট মিলের মাধ্যমে এই ভূখ-ে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীনতার পূর্বে ৭৫টি পাটকল থাকলেও ১৯৮১ সালে তা ৮২ তে দাঁড়ায়। এক সময় রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পাটকে দেশের সোনালী আঁশ বলা হতো। আজ সেই পাট শ্রমিক ও কৃষকের গলার ফাঁস হয়েছে। সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির ফলে, ৮২ সাল থেকে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ এর পরামর্শে বিরাষ্ট্রীয়করণ নীতির ফলে বর্তমানে মাত্র ২৫টি সরকারি জুট মিল চালু আছে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রায় ২৩০টি বেসরকারি পাটকল দেশে চালু আছে।
বক্তাগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি পাটকল কেন অলাভজনক তার কোন সঠিক রিপোর্ট আজ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয় না। কিন্তু ঢালাওভাবে শ্রমিকদের উপর দায় চাপিয়ে আদমজীসহ বেশির ভাগ পাটকল বন্ধ করা হয়েছে। যেগুলো বর্তমানে চালু আছে সেগুলোকেও বেসরকারি খাতে মুষ্টিমেয় মুনাফালোভী গোষ্ঠীর হাতে ছেড়ে দেওয়ার চক্রান্তের অংশ হিসেবেই শ্রমিকদের মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না এবং বকেয়া বেতন দেয়া হচ্ছে না।

বক্তাগণ আরো বলেন, সারা বিশ্বে সবুজায়নের জন্য ও পরিবেশ রক্ষা জন্য আন্দোলন হচ্ছে এর ফলে পাট পণ্যের ব্যাপক বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। সারা বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পিস শপিং ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। এর মাত্র ৫% যদি আমরা রপ্তানি করতে পারি তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকার রপ্তানি আয় করা সম্ভব। কিন্তু সরকারের নীতি সেই মুখী নয়।
বক্তাগণ সরকারের এই ভুলনীতি পরিহার ও দুর্নীতি বন্ধ করে পাটকল-পাট চাষীদের রক্ষা ও ধর্মঘটি পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। একই সাথে পাটশিল্পের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় পাটকল শ্রমিক, পাট চাষী ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।