বাউল শিল্পী শরিয়ত বয়াতির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত
বাউল শিল্পী শরিয়ত বয়াতির হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ ২৪ জানুয়ারি ২০২০ সকাল ১০:৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। চারণের ইনচার্জ নিখিল দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাসদ ঢাকা নগরের সদস্য সচিব জুলফিকার আলী, চারণ সংগঠক জাকির হোসেন, বিপুল কুমার দাস, প্রদীপ সরকার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা রুখশানা আফরোজ আশা প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শরিয়ত বয়াতির পুরো বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপে কোথাও তিনি ধর্মের বিরুদ্ধে বলেছেন তা শোনা যায়নি। তিনি ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বলেছেন। তাই এই স্বার্থান্বেষী ধর্মব্যবসায়ী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক চক্র তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং সরকার-প্রশাসন মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতার অংশ হিসেবে শরিয়ত বয়াতিকে গ্রেফতার করেছে। তিনি কবি গানের আসরে বলেছেন, ‘গান-বাজনা হারাম কোরানের কোথাও বলা হয় নাই’ তিনি ধর্মব্যবসায়ীদের ‘শালা’ বলেছেন। জামায়াত নেতা ও বক্তা তারেক মনোয়ারকে ‘তারেক জানোয়ার’ বলেছেন। ফলে ধর্মব্যবসায়ীরা তার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজনে ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করছে বিধায় এটা সম্ভব হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কবিয়াল শরিয়ত বয়াতির নামে দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, শরিয়ত বয়াতির মতো একজন লোকজ গানের শিল্পীকে গ্রেপ্তার করা বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির উপর বড় আঘাত। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র মুক্ত চিন্তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক স্বাধীনতা হরণ করছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কবিয়াল শরিয়ত বয়াতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।