23 Nov 2017
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন অন্যথায় ৩০ নভেম্বর হরতাল
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও গণবিরোধী
মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন অন্যথায় ৩০ নভেম্বর হরতাল

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে ইতিপূর্বে সাতবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে, বর্তমান বৃদ্ধি নিয়ে মোট আটবার দাম বাড়ালো। মূল্য বৃদ্ধির ফলে এর কুপ্রভাব বাড়ি-ভাড়া থেকে শুরু করে কৃষি, সেচ ও সকল পণ্য মূল্য বৃদ্ধি পাবে। যা জনজীবনে দুঃসহ যন্ত্রণা বয়ে আনবে।
বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, গণশুনানীতে বিইআরসি, ভোক্তা সংগঠন ক্যাব ও বাসদসহ বামপন্থী দলগুলোর মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেয়া বক্তব্যের বিপরীতে কোন যুক্তি দিতে পারে নাই। তার পরও রেন্টাল-কুইক রেন্টালের মাধ্যমে কতিপয় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর মুনাফার স্বার্থে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই ঘোষণা বিইআরসির গণশুনানীকে আবারো গণতামাশা বলে প্রতীয়মান করলো।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপাদান জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কমে গেলেও বাংলাদেশ তা কমানো হয়নি। বিদ্যুতের জন্য আমদানি মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ এবং ভর্তুকীর টাকাকে ঋণ হিসেবে দেখিয়ে সুদ ধার্য্য না করলে বিদ্যুতের দাম কোন ক্রমেই বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে না বলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এবং পিডিবি’র চেয়ারম্যান বলেছিলেন। তার পরও আমদানি মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ না করে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা তাহলে কার স্বার্থে-দেশবাসী তা জানতে চায়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এমনিতেই চাল, ডাল, তেল, নুন, পিয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। এর পর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা মরার উপর খাড়ার ঘা এর সামিল।
বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, সরকার কথায় কথায় গরীব বান্ধব বলে নিজেকে জাহির করেন অথচ লাইফ লাইনের (হতদরিদ্রদের) ভোক্তাদের বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যা সরকারের লুটেরা তোষণ নীতিরই বহিপ্রকাশ।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। অন্যথায় ৩০ নভেম্বর হরতাল মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। একই সাথে মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে হরতাল পালনসহ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল বাম-প্রগতিশীল দল, সংগঠন ও দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।