বাসদ এর সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের ২১তম বার্ষিক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত
সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের ২১ তম বার্ষিক মিলনমেলা
সংগ্রামের চার দশক উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত-ছাত্র রাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ান

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসের গতকালের সংঘর্ষের ঘটনা অনভিপ্রেত ও ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আজ সংবাদপত্রে প্রচারের জন্য প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সংঘর্ষের ঘটনার অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রদলের সদস্য ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। দীর্ঘসময় ধরে ছাত্ররাজনীতির আদর্শবিবর্জিত সন্ত্রাস নির্ভর ধারা মহীরুহ আকার ধারণ করে শিক্ষার্থী জনসাধারণের মানস্পটে ভীতিকর ছাপ ফেলেছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে আদর্শবাদী প্রগতির ধারাকে শক্তিশালী করে ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সোপানকে ধারাবাহিকতা দান করার দায় আপামর ছাত্রসমাজের উপর বর্তায়। দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ।
বিরোধী দল-মতের প্রচার ও সংঘটিত করার উপায় কার্যত বন্ধই ছিল। তাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস ছিল বহুল প্রত্যাশিত। যেখানে গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল চিন্তা প্রচার ও শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করার অবাধ পরিবেশ বিরাজ করবে। অথচ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের দায় ছাত্ররাজনীতির উপর চাপিয়ে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সচেতন-সংগঠিত ছাত্র আন্দোলন বরাবরই ভীতিকর ছিল শাসকশ্রেণির কাছে। ইতিহাসের বিভিন্ন কালপর্বে শাসকশ্রেণি ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে ছাত্রদের কাছে তার আবেদন নষ্ট করতে উদ্যত হয়েছে।
কিন্তু ছাত্র রাজনীতি বন্ধ কখনোই এর প্রকৃত সমাধান নয়। বরঞ্চ রাজনীতি বন্ধের মাধ্যমে গণমানুষের প্রতি দায়বদ্ধ রাজনীতির বিপরীতে অপরাজনীতি শক্তিশালী হয়ে উঠে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মতের অবাধ চর্চা, সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার মাধ্যমে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত মিছিলের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় ছাত্রদল কর্মীদের উপর উস্কানিমূলক হামলা ও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের সংঘটিত হামলার এই পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।
একই সাথে কুয়েটসহ সারাদেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল চিন্তা প্রচার ও সংগঠন করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।