বাসদ এর সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের ২১তম বার্ষিক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত
সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের ২১ তম বার্ষিক মিলনমেলা
সংগ্রামের চার দশক উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত-ছাত্র রাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ান

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য এক বিবৃতিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালি বিজ্ঞানী,শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামে রাখা ১৯ টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু একাডেমিক ভবন, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, কবি জীবনানন্দ দাস একাডেমি ভবনের নাম পরিবর্তন করে একাডেমিক ভবন-১,২,৩ রাখা হয়েছে। এমনিভাবে লালন সাঁই এর নামে মিলনায়তন, শহিদ তাজউদ্দীন প্রশাসনিক ভবন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা: আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্র,আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় গবেষণাগার,কবি সুলতানা কামাল জিমনেসিয়াম, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা ভবন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. সুখরঞ্জন সমাদ্দার ভবন,শহীদ বুদ্ধিজীবী গোবিন্দ চন্দ্র দেব,শহীদ বুদ্ধিজীবী এস এম এ রাশিদুল হাসান আবাসিক ভবনের নাম পাল্টে দেয়া হয়েছে।
নাম পাল্টে দেয়ার কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত শুভ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কহীন সকল নাম মুছে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কূপমন্ডুক চিন্তার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, উল্লেখিত বিজ্ঞানী ও শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের ভূমিকার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বের উদাহরণ। আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সত্যেন বোস প্রমুখ তাঁদের মৌলিক আবিস্কারের মাধ্যমে জ্ঞানজগতে নিজেদের ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে বাঙ্গালী জাতির পরিচয় সৃষ্টি করেছেন।
লালন সাঁইয়ের দর্শন ও সঙ্গীত শোষণ-বৈষম্য, জাতপাতের ভেদাভেদের বিরুদ্ধে আমাদের চেতনাকে শানিত করে। আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনের তরে জীবন দানের মহান আদর্শ তৈরি করেছেন। তাঁদের আত্মদান আমাদের শিখিয়েছে জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্য শুধু ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠা নয়; সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায় সামাজিক চাহিদার প্রতি যথাযথ সাড়া দিতে পারার মধ্যে জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্য নিহিত। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত স্পষ্টত অজ্ঞতাপ্রসূত ও অনৈতিহাসিক।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে এই নাম পরিবর্তনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। একইসাথে নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন ছাত্রীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারেরও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে অন্যায়ভাবে গভীর রাতে ছাত্রী হলের নাম পরিবর্তন করতে যারা উদ্ধত হয়েছিল তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ১১ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানান