বাসদ এর সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের ২১তম বার্ষিক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

বাসদ এর সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের ২১তম বার্ষিক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

লুণ্ঠনের বুর্জোয়া ধারা ও ধর্মীয় মৌলবাদী ধারার বিপরীতে বাম বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তুলুন -বজলুর রশীদ ফিরোজ আগামী অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব…
সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের ২১ তম বার্ষিক মিলনমেলা

সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের ২১ তম বার্ষিক মিলনমেলা

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর উদ্যোগে ২১তম সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠানটি তোপখানা রোডে বিএমএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত…
হিমাগারে আলু সংরক্ষণে কেজি প্রতি ভাড়া দ্বিগুণ করার তীব্র প্রতিবাদ এবং আলু চাষীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি

হিমাগারে আলু সংরক্ষণে কেজি প্রতি ভাড়া দ্বিগুণ করার তীব্র প্রতিবাদ এবং আলু চাষীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি

হিমাগারে আলু সংরক্ষণে কেজি প্রতি ভাড়া দ্বিগুণ করার তীব্র প্রতিবাদ এবং আলু চাষীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও…
বাসদ এর সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের ২১তম বার্ষিক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত
বার্তা প্রদানকারীঃ মাঈন উদ্দিন চৌধুরী
প্রকাশের তারিখঃ 18th April, 2025
Press Release of SPB 18 April 2025

লুণ্ঠনের বুর্জোয়া ধারা ও ধর্মীয় মৌলবাদী ধারার বিপরীতে বাম বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তুলুন

-বজলুর রশীদ ফিরোজ

আগামী অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিতে বামপন্থিরা প্রস্তুত হোন

– খালেকুজ্জামান

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের ২১তম বার্ষিক মিলন মেলা আজ ১৮ এপ্রিল ২০২৫ তোপখানা রোডস্থ বিএমএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ।
সারা দেশের ৬ শতাধিক সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাসদের কার্যক্রম, রাজনৈতিক সংগ্রাম, পরামর্শ, সমালোচনা তুলে ধরেন। এ অনুষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শিশু-কিশোরদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি। তাদের কাছে এ যেন ঘরের বন্দি দশা থেকে মুক্ত বিহঙ্গের মতো বিচরণের উল্লাস, উচ্ছাস, ছুটাছুটিতে ভরপুর।
মিলন মেলায় আলোচনা করেন বাসদের উপদেষ্টা কমরেড খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবিদুর রেজা, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, সুপ্রীম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জেড.আই.খান, পান্না, গণতন্ত্রী পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ট্রেজারার খায়রুজ্জামান কামাল, সাবেক অতিরিক্ত সচিব জনাব রশীদুল হাসান, জনাব শেখ আহাদ আহম্মেদ, কৃষিবিদ গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাসদের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড নিখিল দাস।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব জনাব সুজা উদ্দিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব কুদরত ই খুদা, শ্রমিক নেতা জনাব মন্টু, ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন, ড. বীনা সিকদার, নারী নেত্রী বহ্নি শিখা জামালী, আকবর খান, কৃষিবিদ নূরু মিয়া, কৃষিবিদ ড. শামসুল হোসেন, কৃষিবিদ হারুন অর রশীদ আহমেদ বাবু, কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী, কৃষিবিদ মজিবুল হক চুন্নু, অধ্যাপক ডা. আবুল কাশেম, ব্যাংকার নূরুল আরশাদ চৌধুরী, এডভোকেট জহিরুল ইসলাম মোল্লা, স্থপতি সুব্রত সরকার, চারু শিল্পী পিন্টু বিল্লাহ প্রমুখ।

মিলন মেলায় কবিতা আবৃতি করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি বিপ্লবী কবি মোহন রায়হান, কামরুজ্জামান ভূইয়া, শামীম পাটোওয়ারী, তারিকুজ্জামান টরিক, টিপু চৌধুরী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন চারণ শিল্পী শাহিনা আক্তার, গোলাম মোস্তফা। নারায়ণগঞ্জ জেলা চারণের উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে মিলন মেলার অনুষ্ঠান শুরু হয়। নৃত্য পরিবেশন করেন অন্বেষা মজুমদার ও সৃজা সাহা।
কমরেড খালেকুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে মিলন মেলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ কেন্দ্রীক পরিবার থেকে বেরিয়ে বৃহত্তম সামাজিক স্বার্থের এক পরিবার গড়ে তোলার চেষ্টা হিসেবেই আমরা মিলন মেলার আয়োজন করি। দলের নানা স্তরের সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী সারা দেশ থেকে এ অনুষ্ঠানের জন্য উদগ্রীব থাকে। স্বামী-স্ত্রী, কন্যা-পুত্রসহ মিলন মেলায় এসে ১ দিনের জন্য হলেও সংসার, পরিবারের নানা সংকট মোকাবিলা করতে করতে ক্লান্ত মানুষেরা একটু শান্তি খুঁজে পায়। দলের সাথে একাত্মতার বন্ধনকে আরো দৃঢ় করেন। বেচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে ফিরে যায়। এটা যেন তাদের ১ বছরের জ্বালানি ও রাজনৈতিক আদর্শের নবায়ন।
তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যে আশাবাদ গড়ে উঠেছিল তা ক্রমাগত ফিকে হয়ে যাচ্ছে। কারণ বৈষম্যের বিলোপ সাধনের স্লোগানে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ গণঅভ্যুত্থানে সামিল হলেও একই শ্রেণির এক অংশকে হটিয়ে অপর অংশ শাসন ক্ষমতায় যাওয়ায় গত ৮ মাসেও জীবনযাত্রার ব্যয় কমেনি, আইন শৃঙ্খলার অবনতি থামেনি, গণতন্ত্রে উত্তোরণের জন্য যে নির্বাচন তা নিয়েও ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। এর সাথে ভৌগোলিক কারণে যুক্ত হয়েছে নানা সাম্রাজ্যবাদী দেশের ষড়যন্ত্র, টানাটানি। অনির্বাচিত দুর্বল সরকার সাম্রাজ্যবাদী দেশসমূহের চক্রান্ত মোকাবিলা করতে অক্ষম শুধু নয় অনেক ক্ষেত্রে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে তাদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছে বলে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নে বিপ্লবী দলের নেতৃত্বে বিপ্লবী গণঅভ্যুত্থান না হওয়া পর্যন্ত শাসক বদল হলেও ব্যবস্থা বদল হবে না ফলে নির্দিষ্ট সময় পরপর গণঅভ্যুত্থানের ঢেউ আসতেই থাকবে।
তিনি আগামী ৫/১০/২০ বছর পর যে অভ্যুত্থান হবে তার জন্য বাসদ এবং বামপন্থি দলসমূহের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানকে ঠেকাতে হলে শোষণমূলক পুঁজিবাদী লুণ্ঠনের পাহারাদার বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদী ধারা ও বুর্জোয়া মৌলবাদী ধারার বিপরীতে বাম ও উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দল, সংগঠন, ব্যক্তির সমন্বয়ে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি।