সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর আয়োজনে ‘প্রেক্ষিতঃ জুলাই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন সমাজ কোন পথে?’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৭তম বার্ষিকীতে ‘প্রেক্ষিতঃ জুলাই
অভ্যুত্থান-বৈষম্যহীন সমাজ কোন পথে?’ শিরোনামে আজ ১৪ নভেম্বর ২০২৪,
বিকাল ৩:৩০টায়, ডাকসু ২য় তলায় কনফারেন্স রুমে সেমিনারের আয়োজন করছে
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির
সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচনা করেন ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হারুনর রশীদ, বাসদের সহকারী সহকারী
সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট
কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহম্মেদ শুভ। সেমিনার পরিচালনা
করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান
উদ্দিন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি যেদিন থেকে গড়ে উঠেছে সেদিন
থেকেই মানুষ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমাদের দেশে অনেকগুলো আন্দোলন হয়েছে,
হয়েছে শাসকের পরিবর্তন কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ’২৪
গণঅভ্যুত্থানে জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি ও নগণ্য। বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক
মহাজাগরণ বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করল। মানুষ চেয়েছিল একটা বৈষম্যমুক্ত
সমাজ। আদৌ সে পথে হাঁটছে কি বাংলাদেশ?
স্বৈরাচারী শাসকের পরিবর্তন হয়েছে ব্যবস্থার বদল হয়নি, স্বৈরাচারী ভাষারও
পরিবর্তন ঘটেনি। পুঁজিবাদী অর্থনীতিই বৈষম্য তৈরির কারখানা। পুঁজিবাদ সমাজের
রন্ধ্রে রন্ধ্রে বৈষম্যের বীজ রোপণ করে রেখেছে। আজকে আমরা যখন বলি মেধা
চাই, বৈষম্যময় সমাজে তো মেধার মূল্যায়ন হয় না। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বৈষম্যহীন
সমাজের কথা বলে সমতার কথা বললে সেটা হবে বড় বৈষম্য। শ্রেণিতে শ্রেণিতে,
মানুষে মানুষে, ধনী-গরিবে, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ সর্বক্ষেত্রে পুঁজিবাদ বৈষম্য বজায়
রেখেছে। কোটাটা ছিলো একটা সময় বৈষম্য ধূর করার অস্ত্র আর শাসকরা এটাই
বৈষম্য তৈরির অস্ত্রতে পরিণত করেছে।

’২৪এ-এর জুলাই আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের থেকেও আওয়াজ
উঠেছে আমরাও তো রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দিই কিন্তু আমাদের
কেনো এতো টাকা দিয়ে শিক্ষা নিতে হবে?
গত ৭ নভেম্বর মহান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৭তম বার্ষিকী পালিত
হয়েছে। যে বিপ্লবের মাধ্যমে রাশিয়ার জনগণ সত্যিকার অর্থেই পেরেছিল এক
বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। যা সারা দুনিয়ার চোখে আজও এক বিস্ময়।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মডেল হতে পারে সোভিয়েত সমাজতন্ত্র। পুঁজিবাদের
বিরুদ্ধে লড়াই ও একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সোভিয়েত
সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এখনো অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইটা থাকবে, লড়বে আজকের যুবসমাজ। পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক
ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লড়াই ব্যতীত মানুষের মুক্তি
সম্ভব না, সে লড়ায়ে সামিল হওয়ার তরুণ ছাত্রসমাজকে আহ্বান জানান
আলোচকবৃন্দ।

বার্তা প্রেরক

অনিক কুমার দাস
দপ্তর সম্পাদক
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটি
০১৯২০৪০১৪৪৩